নিউজ

***জরুরি সংবাদ :বঙ্গভবনের পথে হামিদ   ❖ কাজীপাড়ায় ছাত্রলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা   ❖ খালেদা মাইনাস, এখন আওয়ামী লীগকেও মাইনাসের চেষ্টা   ❖ কাল থেকে বিএনপির ফের ৩৬ ঘণ্টার হরতাল   ❖ মাটির তৈরি শৌখিন তৈজস, রফতানি হচ্ছে বিদেশে   ❖ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশগুলোর উন্নয়নের রোল মডেল   ❖ শিক্ষিকার ছবি অশ্লীলভাবে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে চাকরিচ্যুতি!   ❖ বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট আসছে, আকার হবে দু’লাখ কোটির বেশি   ❖ যুদ্ধাপরাধী বিচার ॥ আদালত অবমাননায় অভিযুক্ত তিন জামায়াত নেতা   ❖ হেফাজতের দাবি আর ভোট রাজনীতির হিসাব-নিকাশ   ❖ ঘন ঘন হরতালে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক হচ্ছে না   ❖ শাহবাগে গণজাগরণ ও মহাখালীতে নির্মূল কমিটি মঞ্চে হামলার ঘটনায় দুটি মামলা   ❖ ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা ॥ আটক অস্ত্র ও গোলাবারুদ ছিল চীনে তৈরি ॥ ব্রি. জে. হাসান   ❖ চার ঘণ্টা সংঘর্ষ ॥ নাটোরে আ’লীগের সমাবেশে বিএনপি জামায়াতের হামলা আহত ৩০   ❖ সাঁতারে প্রথমদিনেই তিনটি নতুন রেকর্ড   ❖ শেখ জামালের ঘাম ঝরানো জয়   ❖ হাটহাজারীতে অস্ত্রসহ ৩ ছিনতাইকারী আটক   ❖ ডিএসইতে আড়াই মাসে সর্বনিম্ন লেনদেন   ❖ তহবিল সঙ্কটে পিছিয়ে গেল সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল  

   « »

আন্তর্জাতিক

নয়াদিল্লিতে তোপের মুখে মমতা, পশ্চিমবঙ্গে ভাঙচুর-হামলা


নয়াদিল্লিতে তোপের মুখে মমতা, পশ্চিমবঙ্গে ভাঙচুর-হামলা
কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের ছাত্রনেতা সুদীপ্ত গুপ্তের পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করেছে কলকাতায়। একই কারণে নয়াদিল্লিতে ছাত্রদের তোপের মুখে পড়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।

মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে যোজনা অফিসের সামনে স্টুডেন্ট ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার (এসএফআই) সমর্থকদের তীব্র বিক্ষোভের মুখে পড়েন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। সেই বিক্ষোভে হাতহাতিতে জড়িয়ে পড়েন অর্থমন্ত্রী। এরপর নয়াদিল্লির এইমস হাসপাতালে অর্থমন্ত্রীকে দেখাতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনার পশ্চিমবঙ্গের একের পর এক জেলায় সিপিআইএম পার্টি অফিস ভাঙচুর চলছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের নেতৃত্বে।

হাতাহাতি ঘটনার পর মমতা ব্যানার্জী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ কারণে রাতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছেন তিনি।

ঘটনার প্রতিবাদে মহাকরণের সামনে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে চলল বিক্ষোভ। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সাংবাদিক সম্মেলনের পরই জেলায় জেলায় শুরু হয়ে গেল সিপিআইএমের পার্টি অফিস ভাঙচুর।

নয়াদিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেন, “কলকাতায় গিয়ে সিপিআইএমকে দেখে নেব।” এরপর যোজনা কমিশনের দফতরে কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিং আহলুওয়ালিয়ার সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, তাঁকে মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করতে গিয়েছিল। ববি (ফিরহাদ হাকিম) তাকে বাঁচায়। কলকাতা থেকে লোক এনে গুণ্ডামি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মমতা।

ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। মঙ্গলবার এক বিবৃতি জারি করে বুদ্ধদেব বলেন, “কোনো রাজনীতি থেকে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে জানি না। এটা ভুল রাজনীতি, কেউ এটাকে সমর্থন করবে না।” ছাত্রনেতা সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর প্রতিবাদে নয়াদিল্লিতে মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে এসএফআইয়ের বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও। তিনি বলেন, “এই ঘটনা অবাঞ্ছিত।”

এই ঘটনার পর কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রও। রাজ্যে অশান্তি না ছড়ানোর আবেদন জানিয়েছেন তিনি। দলমত নির্বিশেষে সবার কাছে আবেদন রেখেছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলছি।” ঘটনার পর তৃণমূলের তরফে রাজ্যের বিভিন্ন জেয়গায় সিপিআইএম পার্টি অফিসগুলিতে পাল্টা হামালা চালাচ্ছে তৃণমূল। এমনই অভিযোগ সূর্যবাবুর। তিনি বলেন, “পরসুরা, হরিপাল, তালডাংরা পার্টি অফিসে হামলা চালানো হয়েছে।”

শেষ খবর কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গাসহ ইতিমধ্যে শতাধিক সিপিআইএম পার্টি অফিস ভাঙচুর হয়েছে। এর মধ্যে মেদিনীপুর, হুগলী, বর্ধমান থেকে ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিপিআইএমের সাবেক দুই মন্ত্রী রেজ্জাক মোল্লা ও সুদর্শন রায় চৌধুরীর গাড়িতে হামলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১৩

 

 ধর্ষণ বিরোধী আইন: বয়স নিয়ে বিপাকে ভারত


সাপ্তাহিক মানবাধিকার ডেস্ক


সর্বনিম্ন কত বছর বয়স হলে কারো বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা যাবে তা নিয়ে মতৈক্য হয়নি ভারতের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। গত ডিসেম্বরে দিল্লি ধর্ষণকাণ্ডের পর এ নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছে আইন প্রণেতা, বিচার বিভাগ ও সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে।
সরকার এ নিয়ে একটি সমঝোতা করতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত তা সফল হয়নি। সরকার সব রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে একটি প্রস্তাব আইন আকারে পাস করতে চেয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে দিল্লিতে এক প্যারামেডিকেল ছাত্রীকে চলমান বাসে গণধর্ষণের যে অভিযোগ ওঠে সেখানে অভিযুক্তদের মধ্যে এক কিশোরও ছিল। আইনানুযায়ী সে ছিল অপ্রাপ্ত বয়স্ক। কারণ, তার বয়স তখনো ১৮ হয়নি।
কিন্তু ঘটনা তদন্তে বেরিয়ে আসে যে ওই কিশোরই মেয়েটির ওপর বেশি নির্যাতন করেছিল। কিন্তু আইন বলছে, তার শাস্তি হবে সর্বনিম্ন।
বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে, ধর্ষণ বা যৌণ সম্পর্ক স্থাপনে সম্মতি দানের বয়স ১৮ এর স্থলে ১৬ করার প্রস্তাব আসতে থাকে। এ নিয়ে আন্দোলনও কম হয়নি। এরই ধারাবাহিকতায় বিদ্যমান আইনটি সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়।
কিন্তু এ প্রস্তাবের বিরোধীতাও কম নয়। ভারতের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কামাল নাথ নিজেই আইনটির কিছু ধারার অপপ্রয়োগ নিয়ে সন্দিহান।
যদিও প্রস্তাবিত আইনটির অন্যান্য ধারা ও বিধান নিয়ে অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো বিরোধ নেই।
প্রস্তাবিত আইনটিতে ধর্ষণকারীর বয়স প্রস্তাব করা হয়েছে ১৬ বছর। এর আগে ১৮ বছর হলেই কাউকে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য যে শাস্তির বিধান ছিল তার ক্ষেত্রেও সেই শাস্তির বিধান প্রযোজ্য ছিল। প্রস্তাবিত আইনটি পাস হলে ১৬ বছর হলেই তাকে পুরো শাস্তি বরণ করে নিতে হবে।
তবে বিজেপি ও অন্যান্য দলগুলোর প্রস্তাব হলো, যেহেতু বিবাহের ক্ষেত্রে সম্মতি দানের বয়স ১৮-তাই ধর্ষণের যথাযথ শাস্তি দিতে হলে তাকে ১৬ বছর নয়, ১৮ বছর বয়স্কই হতে হবে।
তাছাড়া, ১৬ বছর করা হলে তা দেশের অন্যান্য আইন ও আর্ন্তজাতিক আইনের সাথেও সাংঘর্ষিক হবে।
কাজেই বিদ্যমান আইনটিই যথাযথ বলে দাবী বিজেপিসহ অন্যান্য কয়েকটি দলের।
কিন্তু যারা ১৬ বছর করার পক্ষে তারা বলছে, বিবাহের পূর্বেও যৌণ সম্পর্কের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে। তাই সম্মতি দানের বয়স হতে হবে ১৬ বছর। কারণ, ১৬ বছরে কেউ যদি জোর করে বা সম্মতি নিয়ে  যৌণ সম্পর্ক স্থাপন করে তাহলে তাকে শাস্তি দেওয়া যাবে না এটি হতে পারে না।
সরকার সংসদের বাইরেই এ বিতর্কের সমাধান করতে চেয়েছিল। কিন্তু তা সফল হয়নি।
তাই সরকারের ইচ্ছানুযায়ী ১৬ বছর প্রস্তাব করে সংসদে আজ বিল আকারে এ খসড়াটি উত্থাপিত হওয়ার কথা রয়েছে।
সরকার আগামি ২২ মার্চ বাজেট অধিবেশনের আগেই বিলটি পাস করতে চায় সরকার।
আইনটি সংশোধন হলে তা নতুন বিতর্কের জন্ম দেবে।

No comments:

Post a Comment